পাতলা মানুষ কীভাবে স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বাড়াতে পারেন?
পাতলা মানুষদের সমস্যা ও ওজন না বাড়ার কারণ
অনেকেই রুগ্ন বা অতিরিক্ত পাতলা গঠনের কারণে নিজেকে অসুস্থ ভাবেন বা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। কিছু মানুষের মেটাবলিজম এত দ্রুত কাজ করে যে তারা যা-ই খান, তা শরীরে জমে না। আবার অনেক সময় খাওয়ার অভ্যাস ঠিক না থাকাও ওজন না বাড়ার অন্যতম কারণ। ওজন বাড়াতে হলে শুধু বেশি খাওয়াই নয়, বরং সঠিক খাদ্য, সময়মতো খাবার ও ব্যায়ামের সমন্বয় দরকার।
স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বাড়ানোর কার্যকর উপায়
১. ক্যালরি ও পুষ্টিকর খাবারের পরিমাণ বাড়ান:
ওজন বাড়াতে হলে দিনে যে পরিমাণ ক্যালরি আপনার শরীর খরচ করে, তার চেয়ে অন্তত ৩০০-৫০০ ক্যালরি বেশি খেতে হবে। তবে শুধু ভাজাভুজি বা ফাস্টফুড নয়, বরং পুষ্টিকর খাবার বেছে নিন – যেমন বাদাম, ঘি, দুধ, চিজ, ডিম, আলু, কলা ইত্যাদি।
২. প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি:
ওজন বাড়াতে চাইলে প্রোটিন intake বাড়ানো দরকার। কারণ প্রোটিন ছাড়া ওজন শুধু ফ্যাট আকারে বাড়বে, যা স্বাস্থ্যকর নয়। ডিম, মাছ, মুরগি, ছোলা, ডাল ও সয়াবিন প্রোটিনের ভালো উৎস।
৩. নিয়মিত ছোট ছোট মিল নিন:
দিনে অন্তত ৫-৬ বার খান। তিনবেলা মূল খাবার ছাড়াও দুটি হেলদি স্ন্যাকস খেতে পারেন, যেমন পিনাট বাটার টোস্ট, ফল, বাদাম বা মিল্কশেক।
৪. ব্যায়াম করুন:
অনেকে মনে করেন ওজন বাড়াতে গেলে ব্যায়াম বাদ দিতে হবে, কিন্তু তা ভুল। সঠিক ব্যায়াম যেমন—ওজন তোলা (strength training)—পেশি গঠন করতে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বাড়ায়।
৫. ঘুম ও বিশ্রাম অপরিহার্য:
ওজন বাড়াতে গেলে পর্যাপ্ত ঘুম (প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শরীর বিশ্রামে থাকলে পেশি দ্রুত পুনর্গঠিত হয় এবং খাবার যথাযথভাবে কাজে লাগে।
ওজন বাড়াতে সহায়ক খাবার তালিকা
- দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
- ঘি ও মাখন
- কলার মিল্কশেক
- বাদাম, কাজু, কিশমিশ
- পনির ও চিজ
- সিদ্ধ ডিম ও মাছ
- ওটস, দই ও ফল
উপসংহার: ওজন বাড়ানো একটা প্রক্রিয়া, যা সময় ও ধৈর্য দাবি করে। ভুল উপায়ে ফাস্টফুড বা চিনি জাতীয় খাবার খেয়ে ওজন বাড়ালে তার ফল শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বরং স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম ও ঘুমের মাধ্যমে ধীরে ধীরে ওজন বাড়ালে তা দীর্ঘস্থায়ী ও উপকারী হবে।
